,

যেদিনে ভ্রমণ পছন্দ মহানবীর

সময় ডেস্ক ॥ ভ্রমণ মানব জীবনের এক সুখপ্রদ অধ্যায়। কর্মব্যস্থতার একঘেঁয়েমী কাটাতে ভ্রমণের কার্যকারিতা অপরিসীম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রাচীন স্থাপত্যসহ নানা জায়গাই আমাদের ভ্রমণ তালিকার শীর্ষে থাকে। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘তোমরা জমিনে বিচরণ কর, অতপর দেখ মিথ্যাবাদীদের পরিণাম কেমন ছিল।’ সূরা আনআম, আয়াত ১১। তাই বলা যায় ইসলাম নৈতিকভাবে ভ্রমণকে উৎসাহিত করেছে। ভ্রমণে বের হওয়া সম্পর্কে আমাদের সমাজে অনেক কুসংস্কার প্রচলিত আছে। যেমন, কোন নির্দিষ্ট দিনে ভ্রমণে বের হওয়া না হওয়া ইত্যাদি। ইসলাম এগুলোকে সমর্থন করে না। তবে মহানবী সা: শনিবার বা বৃহস্পতিবার সফরে বের হওয়াকে পছন্দ করতেন। এর মানে এই নয় যে অন্য দিন সফরে বের হওয়া নিষেধ বা অনুত্তম। বরং যে কোনো দিনই ভ্রমণে বের হওয়া যেতে পারে। ভ্রমণ চলাকালীন সময়েও ইসলাম কিছু বিধি বিধান দিয়েছে, বরং বলা যায় ইসলাম ভ্রমণের সময় নিজস্ব বিধি বিধানের ক্ষেত্রে অনেক ছাড় দিয়েছে। ভ্রমণকারী ব্যক্তির জন্য রোজা না রাখার অবকাশ রয়েছে। যেমনটি বর্ণিত হয়েছে সুরা বাকারার ১৮৪ নং আয়াতে। নামাজের ক্ষেত্রেও দেয়া হয়েছে বিশেষ সুবিধা। ভ্রমণ চলাকালীন সময়ে চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজগুলোকে দু রাকাত পড়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, যখন তোমরা জমিনে ভ্রমণ কর তোমাদের নামাজ হ্রাস করতে কোন অসুবিধা নেই। সুরা নিসা, আয়াত ১০১। তবে সব ভ্রমণই ইসলামি শরিয়ার দৃষ্টিতে সুবিধাপ্রাপ্ত ভ্রমণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না। শরয়ী দৃষ্টিতে ভ্রমণ হতে হলে অবশ্যই তা ৪৮ মাইল বা ৭৭.২৫ কি.মি. দূরত্বে হতে হবে। আর নৌপথের ক্ষেত্রে এই দূরত্ব হলো ৪৩.৭৫ বা পৌনে ৪৪ নটিক্যাল মাইল । এবং সেখানে ১৫ দিনের কম অবস্থানের ইচ্ছা থাকতে হবে। অর্থাৎ কেউ যদি এতটুকু পরিমাণ ভ্রমণ করে এবং সেখানে ১৫ দিনের কম অবস্থানের ইচ্ছা করে তাহলে তিনি চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজগুলো দুই রাকাত আদায় করার সুযোগ পাবেন এবং সাথে রোজা না রাখার সুযোগও পাবেন। পরিশেষে আমাদের ভ্রমণগুলো নিরাপদ, সুখপ্রদ, ও আনন্দময় হয়ে উঠুক এই কামনাই রইল।


     এই বিভাগের আরো খবর